মুন্সীগঞ্জে জোয়ারে ভেসে গেল শতাধিক গরু

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে প্রায় শতাধিক গরু ভেসে গেছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক মৃত গরু ভেসে উঠলেও বাকিগুলো নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ভুক্তভোগীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ।
আজ শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন খালে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় আনুমানিক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল খান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সবারই গরু রয়েছে। ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন চরে গরুগুলো লালনপালন করে সবাই। গ্রাম ও চরের মধ্যে ছোট একটি খাল রয়েছে। খাল পাড়ি দিয়ে চরে গিয়ে ঘাস খেয়ে প্রতিদিন বিকালে গরুগুলো আবার গোয়ালে ফিরে আসে। শুক্রবার বিকালে খাল পাড় হওয়ার সময় হঠাৎ জোয়ারের পানির স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে শতাধিক গরু ভেসে যায়। এর মধ্যে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ৪১টি মৃত গরু উদ্ধার করা হলেও এখনও প্রায় ৬০টি গরু নিখোঁজ।’
ভুক্তভোগী কৃষক মহসিন বলেন, ‘এমন ঘটনা জীবনেও ঘটে নাই। এমন কিছু ঘটতে পারে তা আমরা চিন্তাও করি নাই। আমার চারটি গরু পানির স্রোতে ভেসে গেছে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি, পথের ফকির হয়ে গেছি।’
নেয়ামূল হক নামের একজন বলেন, ‘দেখলাম কচুরিপানার চাপে ও জোয়ারের পানির স্রোতে একের পর এক গরু ভেসে যাচ্ছে। এরকম অদ্ভুত ঘটনা কখনও দেখিনি আমরা।’
হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, ‘এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আরাফাত বিন ছিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে রয়েছি আমরা। আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সাহায্য করব।’