খুলনার এফআর জুট মিলের গুদামে আগুন

খুলনার আটরা বাইপাস এলাকার এফআর জুট মিলসে আগুন লেগে ছয়টি গুদামের পাট ও পাটজাতদ্রব্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের খুলনা, যশোর ও নৌ-বাহিনীর নয়টি ইউনিট একটানা প্রচেষ্টার পর সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মিলে কর্মরত শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে দিকে গুদামের বাইরে পাটের গোড়া বা ঝুট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে এই আগুন পাশের ছয়টি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার অগ্নিনির্বাপক পাইপ দিয়ে আগুন নিভাতে গিয়ে পাঁচ শ্রমিক আহত হন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের খানজাহান আলী, দৌলতপুর, বয়রা, খুলনা, ডুমুরিয়া ও টুটপাড়া এবং যশোরের অভয়নগর ইউনিট থেকে কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হয়। গুদামের ছাউনির রঙিন টিন পুড়ে আগুনের ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পায়। পরে নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট এসে কাজ শুরু করলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দাবি করেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ইকবাল বাহার বুলবুল।
প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেনি। এফআর জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ শরীফ ফজলুর রহমান ও তাঁর ছেলে কারখানার পরিচালক মামুন আগুন লাগার খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছেলেকে খুলনার ডক্টর্স ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আলহাজ শরীফ ফজলুর রহমান দাবি করেছেন, অগ্নিকাণ্ডে সব মিলিয়ে তাঁর ১০০ কোটির টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক খুলনার মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এফআর জুট মিলের পাটের বিপরীতে সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা ও দৌলতপুর করপোরেট শাখায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) গোপাল চন্দ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো তথ্য জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, কোনো বিমা কোম্পানিতে বিমা আছে কি না, তা না দেখে বলা যাবে না।