মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক মন্ত্রী উইন মিন্ত আই আজ কক্সবাজার সফরে আসছেন। সফরকালে তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।

বেলা ১১টায় উইন মিন্ত আই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং দুপুর ১২টার দিকে মধুরছড়ার আইওএম হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন বলে সফরসূচি থেকে জানা গেছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এই দফায় সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার পর এটিই হবে মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে একটি চুক্তি করা হয়। চুক্তিতে প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে বলে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।

পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্ত রূপ পায়। জেডব্লিউজির বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বাংলাদেশের এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। তিন মাস পর এই সংখ্যা আবার পর্যালোচনা করে বাড়ানো হবে এবং শুরু হওয়ার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ হবে। প্রাথমিকভাবে চুক্তির দুই মাসের মধ্যে ওই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা শুরু হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশ সরকার দ্বিতীয় ধাপে অতিশিগগিরই নাম-ঠিকানাসংবলিত ১০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানা গেছে। এর আগে এক হাজার ৬৭৩টি রোহিঙ্গা পরিবারের আট হাজার ৩২ রোহিঙ্গার তালিকা হন্তান্তর করা হয়েছিল। মূলত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এসব রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করছে।