কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমেছে, খাদ্য সংকটে দুর্গতরা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/27/photo-1440654997.jpg)
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
জেলার নিম্নাঞ্চলে এখনো বাড়িঘর থেকে পানি নামেনি। তাই ঘরে ফিরতে পারছে না বন্যাদুর্গতরা।
এদিকে, দুর্গম চর ও দ্বীপ চরগুলোতে ত্রাণ-সহায়তা ঠিকঠাক পৌঁছাচ্ছে না। এতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে দুর্গত লোকজন।
এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদ-নদীবেষ্টিত রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন। এ দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ছয় দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এ দুই উপজেলার কাঁচা-পাকা সড়ক ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
বন্যা ও ত্রাণের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) খান মো. নুরুল আমীন জানান, এরই মধ্যে বন্যার্তদের জন্য ৮০ টন চাল ও দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা বিতরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নতুন করে আরো ১০০ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৭ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি কমা অব্যাহত আছে।