হলফনামা নিয়ে মুখ খুললেন খালেক

হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ সম্পর্কে মুখ খুললেন খুলনা সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বলেছেন, ‘আমি হলফনামায় কোনো অসত্য তথ্য প্রদান করি নাই। আমি আয়কর প্রদান করি। কমিশনার থেকে সর্বশেষ সংসদ সদস্য নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আয়করের হিসাব দিয়ে এসেছি। সে মোতাবেক আমি আমার হলফনামায় সত্য তথ্য প্রদান করেছি।’
বাগেরহাট-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য তালুকাদার আব্দুল খালেক বলেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, সেখান থেকে কোনো আয় নাই যে হলফনামায় সেটি দিতে হবে। এ ছাড়া অন্য সব তথ্য আমার হলফনামায় দেওয়া হয়েছে।’ তিনি সব ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর প্রতি আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগরে যশোর রোডে শামীম স্কয়ার মার্কেটে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তালুকদার আব্দুল খালেক।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যার শেখ হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী আমিনুল হক, কাজী এনায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মহানগরের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ খান জবা, হাফেজ মো. শামীম, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুটুল, সদর থানা আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা সরোয়ার, শফিকুর রহমান পলাশসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনাবাসীকে মিথ্যা বলে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাইছেন। ট্যাক্স ফ্রি গাড়িতে চললেও গাড়িটির মূল্য ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। গাড়ির ব্যাপারে তিনি মিথ্যা মূল্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন। মঞ্জুর ব্যবহৃত গাড়িটির দাম নাকি পৌনে চার লাখ টাকা। এ অসত্য তথ্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করায় খুলনাবাসী লজ্জা পেয়েছে।
এস এম কামাল হোসেন আরো বলেন, বর্তমান সময়ে একজন মানুষ সাদাসিধে জীবনযাপন করলেও তাঁর পারিবারিক খরচ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার নিচে খরচ হতে পারে না। নজরুল ইসলাম মঞ্জু একটি বাস্তবতাকে এড়িয়ে মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন, যা খুলনাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
কামাল হোসেন আরো বলেন, মঞ্জু তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন মাত্র দুই লিাখ টাকা। সে হিসাবে মাসিক আয় আসে প্রায় ১৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। যা একজন রিকশাচালকের চেয়েও কম আয়। তাহলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দেড় কোটি টাকার গাড়িটি চলে কি বাতাসে আর ড্রাইভারও কি হাওয়া খেয়ে গাড়ি চালান? অপরদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বাস করেন একটি আলিশান ভাড়া বাড়িতে। যে বাড়িটির মাসিক ভাড়া কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। তাহলে তিনি কি বাড়িওয়ালাকে জিম্মি করে অথবা বিনা অর্থে বসবাস করেন।
আওয়ামী নেতারা আরো বলেন, একটি পরিবারে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, খাওয়াসহ মাসে কমপক্ষে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তাহলে সাধারণ মানুষের মনেই প্রশ্ন জাগে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অর্থের উৎস কোথায়?