জনগণের রায় মেনে নেব : খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে জনগণের রায় যেদিকেই যাক না কেন, তা মেনে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে একযোগে সিটি করপোরেশনের ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
দিনের শুরুতেই নগরীর পাইওনিয়ার কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘জনগণের রায় যাই হোক না কেন, তা মেনে নেব। সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিন। ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, এটা বিএনপির স্বভাব। তারা সব সময়ই এসব কথা বলে। ফলে তাদের কথার কোনো মূল্য নেই।
‘আমি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে, কারো সঙ্গে যেন খারাপ ব্যবহার না করা হয়। আমি ভোট নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করছি না। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
খুলনা সিটি করপোরেশনে খালেক ছাড়াও মেয়র পদে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। বুথ সংখ্যা এক হাজার ১৭৮টি। প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছেন চার হাজার ৯৭২ জন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম থাকবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, ১০টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ইভিএম থাকবে।