সরকারি গুদাম থেকে সার লাপাত্তা

যশোরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) গুদামের ৩২০ মেট্রিক টন এমওপি (মিউরিয়েট অব পটাশ) সারের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের শংকরপুর এলাকার একটি গুদাম থেকে এ সার লাপাত্তা হয়েছে। যার সরকারি মূল্য প্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সার ঘাটতির বিষয়টি জানার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) গুদামের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল আরিফ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যশোরে বিএডিসির শংকরপুর, শেখহাটি ও চাঁচড়া এলাকার পাঁচটি গুদাম পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে একটি গুদামে ৩২০ মেট্রিক টন সারের ঘাটতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা কাউকে দায়ী করিনি। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করবে। তারাই বিচার-বিশ্লেষণ করে বের করবে সার ঘাটতির জন্য দায়ী কে বা করা।’
সারা দেশের সারের গুদামগুলোর বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারের নির্দেশনা ছিল। সে অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে সার ঘাটতির বিষয়টি ধরা পড়ে বলে জানান বিএডিসি যশোর অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক (সার) রতন কুমার। তিনি জানান, একইসঙ্গে শংকরপুর গুদামের স্টোরকিপার আজগর আলীর কাছেও এ ব্যাপারে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রতন কুমার আরো জানান, সরকার নির্ধারিত প্রতি টন এমওপি সারের মূল্য ১৩ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী খোয়া যাওয়া ৩২০ মেট্রিক টন সারের মূল্য ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে স্টোরকিপার আজগর আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জেলা সার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, ‘সরকারি গোডাউন থেকে বিপুল সার লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। এ ব্যাপারে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’