নেত্রকোনায় বাল্যবিবাহের দায়ে বাবাকে জেল-জরিমানা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/31/photo-1441037275.jpg)
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে অবশেষে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল ১৪ বছরের এক কিশোরী। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই কিশোরীর বাবাকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের ঝাউশী গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর আবদুল জব্বারের ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটী ইউনিয়নের জাওয়ানী গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার (২০) বিয়ে ঠিক করা হয়। গতকাল রোববার তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রহিমা আক্তার বিষয়টি জানতে পেরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তারী কাদেরী ও জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদারকে জানান। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ রোববার বিকেলে মেয়ের বাবা আবদুল জব্বারকে ধরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
আবদুল জব্বার প্রশাসনের সামনে দোষ স্বীকার করেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদিউর রহিম জাদিদ বিকেল ৬টার দিকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৬ ধারায় আবদুল জব্বারকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।