বৈঠক থেকে শিবিরের ১০ নেতাকর্মী আটক

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বৈঠক করার সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধর্মীয় বই ও ককটেল উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলামসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনথপুর ইউনিয়নের কোমরাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম জোয়ার্দারের বাড়িতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৈঠক করেন। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, উপজেলার রঘুনথপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম জোয়ার্দারের বাড়িতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডুমুরিয়া থানার ওসি হাবিল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তেরখাদা থানার শিবির নেতা হামিদ হাসান (২১), আন্দুলিয়া গ্রামের মিকাইল হোসেন আকুঞ্জি (১৯), টোলনা গ্রামের রবিউল ইসলাম পারভেজ (১৯), একই গ্রামের আম্মান মোল্লা (১৮), তুরান বিশ্বাস (১৮), মিকশিমিল গ্রামের মাজহারুল শেখ (১৯), বরুণা গ্রামের বিএম হাবিবুল্লাহ (১৯) ও একই গ্রামের মাসুম বিশ্বাস (১৮), রুদাঘরা গ্রামের তুহিন ফকির (১৮) ও কোমরাইল গ্রামের রফিকুল জোয়ার্দারকে (৪৮) আটক করে। এ সময় সেখান থেকে লাল রঙের টেপ দিয়ে মোড়ানো পাঁচটি ককটেলসহ বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
ডুমুরিয়া থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, চলমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বানচালসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে ছাত্রশিবিরের লোকজন বৈঠক করছে, এ ধরনের সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ককটেল, জিহাদি বইসহ ১০ জনকে আটক করি। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠকস্থান থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও তাঁর ভাতিজা আবদুল্লাহ জোয়ার্দারসহ অনেকেই পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি নাশকতা মামলা করেছেন।