খুলনা-ঢাকা রেলপথে স্ট্যান্ডিং টিকেটের জন্য দীর্ঘ লাইন

খুলনা থেকে ঢাকার রেলপথের দূরত্ব ৩৫৫ কিলোমিটার। আর এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকেট (দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রা) টিকেট পেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ায় মানুষ। অবিশ্বাস্য হলেও গতকাল রোববার রাতে এই চিত্র দেখা গেছে খুলনা রেলস্টেশনের টিকেট কাউন্টারে সুন্দরবন আন্তনগর ট্রেন ছাড়ার তিন ঘণ্টা আগে থেকে।
খুলনার রেলস্টেশন ম্যানেজার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, যাত্রীদের ইচ্ছায় তাঁরা এই দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকেট দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি জানান, সব আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে তিন শতাধিক স্ট্যান্ডিং টিকেট ছাড়া হয়েছে। তবে তিনি ক্যামেরায় সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকেট পেয়ে যাত্রীরাও খুশি। কারণ বাস ধর্মঘটের গত কয়েক দিন ধরে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাস চলাচল শুরু
এদিকে, আজ সকালে খুলনা, ঢাকাসহ সব রুটের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা একটু কম। ঈগল পরিবহনের খুলনার ম্যানেজার সাইদুর রহমান বাবু জানান, খুলনা থেকে ঢাকা অভিমুখে তাঁদের বাস চলাচল শুরু করেছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা ছিল একটু কম।
একইভাবে খুলনার অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটেও বাস চলাচল করছে। ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর নিরাপত্তার অজুহাতে সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঢাকায় গতকাল মালিক সমিতির ঘোষণার পর আজ সকাল থেকে পুনরায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসচালকের রেষারেষির ফলে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘটনার দিন থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলন শুরু করলে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাস মালিক ও শ্রমিকদের ঘোষণায় গত শুক্রবার দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকে তিন দিন।