মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ : যুবলীগকর্মীর দোষ স্বীকার
মাগুরায় মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ মামলার অন্যতম আসামি যুবলীগকর্মী আলী আকবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-১ মো. ইমতিয়াজুল ইসলামের আদালত এ নির্দেশ দেন। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাগুরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক জানান, মমিন ভূঁইয়া হত্যা ও মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ মামলার ২ নম্বর আসামি আলী আকবরকে (৪০) আজ সকাল ১০টায় মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর আদালতে আনা হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর আদালত তাঁকে হাজতে পাঠিয়েছেন।
আলী আকবরের স্ত্রী রিনা পারভীন জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্বামী আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত চত্বর থেকে সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গতকাল বুধবার রাতে মামলার ১৪ নম্বর আসামি সোলায়মানকে আটক করেছে র্যাব। তাঁকে আজ মাগুরা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের কামরুল ভূঁইয়া গ্রুপের সঙ্গে আজিবর ও আলী আকবর গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ মমিন ভূঁইয়া পরদিন মারা যান।
এ ঘটনায় মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে সদর থানায় মামলা করেন। গত ১৭ আগস্ট এ ঘটনার ৩ নম্বর আসামি আজিবর শেখ পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন।
এরই মধ্যে এ মামলার প্রধান আসামিসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।