ডিবি পুলিশের কাণ্ড!

রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার টাঙ্গন এলাকা থেকে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রতন সরকার নামের এক যুবককে আটক করে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে কয়েকটি ইয়াবা, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
তবে আজ রোববার দুপুরে রতন সরকারকে মাদক মামলায় না জড়িয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) অধ্যাদেশে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এজন্য রতনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৭৫ হাজার টাকা ছাড়া আরো ২০ হাজার টাকা উৎকোচ নেন উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান। এ ঘটনায় নগরজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রতন সরকারের মা সাবিহা সরকার বাবলি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রতনকে আটকের পর থেকেই আমার কাছে এসআই লুৎফরের ফোন আসতে থাকে। ছেলেকে মাদকের মামলা থেকে বাঁচাতে হলে তাঁকে এক লাখ টাকা দিতে হবে।’
আজ রোববার সকালে সাবিহা সরকার বাবলি মহানগর ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ছেলেকে ছাড়ানোর জন্য তদবির শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত জব্দ হওয়া মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্ধার হওয়া ৭৫ হাজার টাকা এবং রতনকে মাদকের মামলায় না দিয়ে আরএমপি অধ্যাদেশে চালান দেওয়ার জন্য আরো ২০ হাজার টাকা নেন এসআই লুৎফর রহমান।
টাকা পেয়ে দুপুরে রতনকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে আরএমপি অধ্যাদেশে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান রতনের মা।
এ বিষয়ে জানতে এসআই লুৎফর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ নিচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান আশিককে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘প্রসাশনিক কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
তবে আরএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আশিকুর রহমান আশিককে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।