প্রায় সাত লাখ কৃষকের জন্য ৮০ কোটি টাকা প্রণোদনা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/10/07/photo-1538920584.jpg)
১১টি ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ছয় লাখ ৯০ হাজার ৯৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য ৭৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার।
আজ রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ফসল চাষে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরুদ্ধারের জন্য কৃষকদের এমওপি ও ড্যাপ সার এবং বীজ দেওয়া হবে।
১১টি শষ্যের মধ্যে রয়েছে- গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো ধানবীজ, শীতকালীন মুগ, গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল।
মতিয়া চৌধুরী জানান, এক বিঘা জমিতে গম চাষাবাদের জন্য এক হাজার ৯৬৫ টাকায় প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি বীজ, ২০ কেজি ড্যাপ সার, ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষাবাদের জন্য এক হাজার ৩০২ টাকায় দুই কেজি বীজ, ২০ কেজি ড্যাপ সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
প্রতি বিঘায় সরিষা চাষাবাদের জন্য ৭৮৬ টাকায় এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ড্যাপ সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। পাশাপাশি একই পরিমাণ জমিতে চীনাবাদাম চাষের জন্য এক হাজার ৫৬৩ টাকায় ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ড্যাপ সার এবং পাঁচ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
এদিকে প্রতি বিঘায় তিল চাষাবাদের জন্য ৭৯২ টাকায় এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ড্যাপ সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার, মুগ (ডাল) চাষাবাদের জন্য ৯৩৫ টাকায় পাঁচ কেজি বীজ, ১০ কেজি ড্যাপ সার এবং পাঁচ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া ধান চাষে এক হাজার দুই টাকায় প্রতি বিঘার জন্য পাঁচ কেজি বীজ, ২০ কেজি ড্যাপ সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।