বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ায় খুন!

মামাতো ভাইকে বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ায় প্রতিপেক্ষর লোকজন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার
নিমপাড়া ইউনিয়নের জাগীরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুতর আহত গ্রামের জিয়াউল হক জিয়া (৩৮) আজ মঙ্গলবার ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান। তিনি ওই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই নারীকে আটক করেছে। এঁরা হলেন ওই গ্রামের ইসলাম আলীর স্ত্রী লালভানু বেগম (৩৫) ও তসলিম উদ্দিনের স্ত্রী চায়না বেগম (৩৪)।
নিহত জিয়ার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম মনি বাদী হয়ে রবিউল ইসলামকে প্রধান আসামি করে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, জাগীরপাড়ার আক্তার হোসেনের দুই ছেলে রবিউল ইসলাম ও ভোলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ভিটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১৫ দিন আগে রবিউল তাঁর ভাই ভোলাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
এরপর ভোলা স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ফুপাতো ভাই জিয়াউল হক জিয়ার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রবিউল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী তসলিম উদ্দিন, ইসলাম আলীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে নিয়ে জিয়ার বাড়ির সামনে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় প্রতিপক্ষ ভোলাকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জিয়াকে চাপ দেয়।
এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রবিউল ও তাঁর সহযোগীরা লাঠি দিয়ে জিয়াকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় জিয়ার বাবা ইউসুফ আলী, মা মুঞ্জেরা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
পরে স্থানীয়রা আহত জিয়া, তাঁর বাবা ইউসুফ আলী (৬৫), মা মুঞ্জেরা বেগম (৬০), একই পরিবারের মঞ্জু (৩৫), মনি (৩০), পারুল বেগম (২৮), রহিম উদ্দিনকে (৮০) পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে জিয়া ও তাঁর বাবা ইউসুফ আলীকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া মঙ্গলবার ভোরে মারা যান।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তবে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুজন নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।