স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফের উদ্যোগে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চার সপ্তাহব্যাপী চতুর্থ দফায় তিন লাখ ৩০ হাজার জনকে কলেরার টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা খাওয়ানো হবে।

উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে এর আগে বাদপড়া ও নতুন আসা দুই লাখ ২৫ হাজার ও ক্যাম্পের আশপাশে ঝুঁকিতে থাকা এক লাখ পাঁচ হাজার স্থানীয় লোকজনকে এ টিকা খাওয়ানো হবে।

আজ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কলেরার টিকা ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. আবুল কাশেম।

এ সময় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল মতিন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রঞ্জন বড়–য়া রাজন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান, ডিজিএইচএসের কর্মকর্তা ডা. এএসএম ইশতিয়াক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা খালিদ আল তাহির, ইউনিসেফ কর্মকর্তা ডা. এ এস এম মাইনুল হাসান, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন আবদুল মতিন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চতুর্থ রাউন্ডে তিন লাখ ৩০ হাজার জনকে কলেরা টিকা খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফ। ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে অবস্থান করা রোহিঙ্গা ও ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয়দের এই টিকা খাওয়ানো হচ্ছে।

‘নতুন আসা রোহিঙ্গা, এক বছর পূর্ণ হওয়া শিশু এবং যারা এর আগে এক ডোজ টিকা পেয়েছে তাদের এ টিকা খাওয়ানো হবে। আর যারা দুই ডোজ টিকা পেয়েছে তাদের আর এ টিকা খাওয়ার প্রয়োজন নেই’, বলেন আবদুল মতিন।

এর আগে গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে এবং চলতি বছরের মে মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে  তিন দফায় কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন চালানো হয়।