আটকরা আইএস না, শিবির : পুলিশ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটকদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আটক নয়জনের মধ্যে তিনজনের নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম। মামলায় আসামি করা হয়েছে ফাহিম আল ফয়সাল ইবনে মুছা বিন জুলকার নাইন, বদিউল হাসান ও মিজানুর রহমানকে।
আটক বাকি ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফতেনগর আঠারবাড়ি থেকে আইএস কর্মী সন্দেহে ফাহিম আল ফয়সাল ইবনে মুছা বিন জুলকার নাইন (১৫) নামের এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে আইএসের নামসংবলিত প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়।
ফাহিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আজ আরো আটজনকে আটক করা হয়। এঁরা হলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আবদুর রাকিব, তাঁর ছেলে মিজানুর রহমান খান (২০), বিকাশ এজেন্ট হায়দার আলী, বদিউল হাসান (২৪), হেলাল উদ্দিন (২০), জুনায়েদ (২৬), মজিবর রহমান (২০) ও মাসুদ মিয়া (২২)।
আজ রাত ৯টায় তাদের জেলা ডিবি কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়।
এ সময় জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী বলেন, মামলার তিন আসামি আইএসের কেউ নয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে তাদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
ওসি আরো বলেন, মূলত সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আইএসের নাম ব্যবহার করে এ প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করে আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘ইসলামী স্টেট’-এর সমর্থনে প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণ করে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল।
আজ সকালে আটকের পর আসামি বদিউল হাসানের কাছ থেকে দুটি কম্পিউটার, মিজানুর রহমান খানের বাড়ি থেকে একটি কম্পিউটার এবং দুটি লিফলেট ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বদিউল হাসানের কম্পিউটার থেকেই বিতরণকৃত আইএসের নামের লিফলেট তৈরি ও প্রিন্ট করা হয় বলে জানায় পুলিশ।