ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সময় মোবাইল ফোন বন্ধ : ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘ভোটাররা ভোট দেওয়ার সময় ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সেটি বন্ধ করে যেতে হবে। ভোট দিয়ে বের হয়ে পরে তা চালু করতে পারবেন।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ভোট দেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) প্রয়োজন নেই। তবে পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে ভোট দিতে সুবিধা হবে।’
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ভোটের দিন ইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো যান্ত্রিক যানবাহন চলবে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, সরকারি গাড়ি, সেবা সংস্থা যেমন- ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র পরিবাহী গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভোট দেওয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করেছেন কিনা তা জানা নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বলতে পারবেন।’
ইসি সচিব বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ভোটাররা চাইলে সঙ্গে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তা সুইচ অফ রাখতে হবে। ভোটাররা কোনোভাবেই বুথ ও কেন্দ্রে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।’
ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং, প্রার্থীর এজেন্টেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গ্রণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। এ চত্ত্বরে ইসি দশটি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ইভিএমের ভোট কেন্দ্রে স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক নয়, তবে নিয়ে গেলে ভোট দান সহজ হবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার এলাকা, ভোটার কেন্দ্র ও কেন্দ্রের নম্বর পাওয়া যাবে। শনিবার থেকে এ সেবা চালু হবে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় ইসির তরফে প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি নিরাপত্তা সদস্য, সাত লাখ বেসামরিক কর্মকর্তা ও এক লাখ পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা থাকবেন। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’
পোলিং অফিসাররা সকাল আটটার আগেই প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নিয়োগপত্র দেখাবেন। এসব বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি ব্যবস্থা নেবে বলেই ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘ইসি এরই মধ্যে যতগুলো অভিযোগ পেয়েছে সবই তদন্ত কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারের কাছে আইজিপির মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রে মামলা দায়েরেরও নির্দেশনা দিয়েছি।’