‘নিরাপদ ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হবে’

নিরাপদ ডিম খাবার নিশ্চিত করতে নিরাপদ ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, নিরাপদ ডিম উৎপাদনের জন্য মুরগিকে স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত খাবার দিতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রিয়মোহন দাস বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ট্যানারি বর্জ বা ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানের তৈরি খাবার মুরগিকে খাওয়ানো যাবে না। পোলট্রি খামারিদের নিরাপদ ডিম উৎপাদনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাবার পরিহার করতে হবে। তবেই নিরাপদ ডিম পাওয়া যাবে।
বক্তারা জানান, ২০টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে ১৮টি ডিমের রয়েছে। ডিম খেলে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হয় না। ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ ও মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ডিম মস্কিষ্কের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডিম কম মূল্য ও সহজলভ্য হওয়ায় সহজেই পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। ডিম সাশ্রয়ী, রান্না করা সহজ, সব ধরনের খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ডিমের পুষ্টি ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী, জেলা পুষ্টিবিষয়ক সহায়ক কর্মকর্তা ডা. মফিজুল ইসলাম শুভ্র ও খামারি শফিকুজ্জামান।
এর আগে ‘বাঙালি হবে স্বাস্থ্যবান, প্রতিদিন ডিম খান’ স্লোগানকে সামনে রেখে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শোভাযাত্রাটি শহরের রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।