কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মেরিন ড্রাইভ রোডের বিচ হ্যাচারি এলাকায় আত্মসমর্পণের জন্য জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী। এ সময় খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম এস দোহার নেতৃত্বে অভিযান চালান পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদস্যদের দেখে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অস্ত্র ও ইয়াবা ফেলে আত্মসমর্পণ করেন। সেখান থেকে ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র।

গতকাল শনিবার ভোরে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের এভাবেই আটক করা হয় বলে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে।

ওই মামলার বাদী টেকনাফ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। আর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে থানার অপর পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম এস দোহাকে। পুলিশের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা (২৬ ও ২৭) দুটিতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুস শুক্কুরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তাঁর অপর ভাই আমিনুর রহমানকে ২ নম্বর, শফিকুল ইসলামকে ৮ ও ফয়সাল রহমানকে ৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে দিদার মিয়াকে ৪ নম্বর ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য লেদার নুরুল হুদাকে ৩ নম্বর, টেকনাফের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হককে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। শাহেদুর রহমান নীপুকে ৫ নম্বর ও ডেইল পাড়ার নুরুল আমিনকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

আত্মসমর্পণের পর শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, আত্মসমর্পণকারীদের পক্ষে এ পর্যন্ত কেউ জামিনের আবেদন জানায়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম এস দোহা জানান, অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের হলেও এটি একটি ব্যতিক্রমী মামলা। কাজেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার তদন্ত সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। সকাল ৯টার আগেই সমাবেশস্থল মানুষে ভরে যায়। কক্সবাজার থেকে চারটি বাসে করে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীকে সমাবেশস্থলে আনা হয়।