খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে : ২০ দল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার ‘মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে’ বলে অভিযোগ করেছে ২০ দল। জোটটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের যে কোনো পদক্ষেপ সরকারের পতনকেই তরান্বিত করবে।’
আজ বুধবার রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘দলীয়করণ, কুক্ষিগতকরণ, নগ্ন হস্তক্ষেপ ও বিচারক অভিশংসন আইন পাস করিয়ে সরকার সমগ্র বিচারব্যবস্থাকে বিরোধী দল ও মতকে দমনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। তারই অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশবাসী, আন্তর্জাতিক মহলসহ সকলেই অবহিত আছেন, খালেদা জিয়াকে সরকার অঘোষিতভাবে গৃহবন্দী অবস্থায় রেখেছেন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
এখনো পর্যন্ত তিনি টেলিফোন, ফ্যাক্স, কেবল সংযোগ ও নেটওয়ার্কসহ সকল বৈদ্যুতিক যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আদালতের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, ইতোপূর্বে আদালতে যাওয়ার পথে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশি সহায়তায় দেশনেত্রীর গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দলের অনেক নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। সেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে অপারগতার কথা আদালতকে জানানোর পরও সরকারি প্রভাবে দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে পিলখানা ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘২০০৯ সালের এই দিনে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাটক মঞ্চস্থ করার মাধ্যমে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। যথাসময়ে দ্রুততার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্লিপ্ততার কারণেই ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে সেদিন প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল। এই নৃশংস চক্রান্তের সাথে সরকারি মহলের অনেকেই জড়িত বলে সচেতন মহল মনে করে। আজকের এই শোকাবহ দিনে আমরা পিলখানা ট্র্যাজেডির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।