কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ধরা খেলেন চার রোহিঙ্গা তরুণী
কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে চার রোহিঙ্গা তরুণী ও স্থানীয় এক গৃহবধূকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
বুধবার বিকেলে ওই তরুণীরা পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে এলে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিন আল পারভেজকে অবহিত করলে তিনি তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটক চার রোহিঙ্গা তরুণী হলেন, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ফাতেমা (২৬), মীম (২৫), আলেয়া খাতুন (২৬) ও নুরীকা খাতুন (২৫)।
কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মোত্তালেব সরকার জানান, জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বল্লবপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী আরিফা খাতুন আত্মীয় পরিচয়ে ওই চার রোহিঙ্গা তরুণীকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করাতে আসেন। তাঁদের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক আরিফা খাতুন (৪২) জানান, তাঁর এক আত্মীয় মালয়েশিয়ায় চাকরি করেন। আটক ফাতেমা ও মীমের স্বামীও মালয়েশিয়ায় চাকরি করেন। তাঁদের পরামর্শে এই চারজন মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে কুড়িগ্রামে আসেন। রাতে তাঁদের বাড়িতে রাখা হয়। বুধবার পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে গেলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
ইউএনও আমিন আল পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় তাদের স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে নাগেশ্বরীর একজন ও চার রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বড়দেরহাট এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে আসেন।