‘বিত্তবানদের ডেকে আনতেন নারী, পুলিশ এসে করত লেনদেন’

খুলনায় প্রতারণার মাধ্যমে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে খুলনা সিটি করপোরেশনের টুটপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সিফাতউল্লা, সোনাডাঙ্গা থানার গল্লামারী পুলিশ বক্সের এএসআই মিরান ও ফাতেমা নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, গ্রেপ্তার পুলিশের দুই এএসআই ও ওই নারী একটি প্রতারকচক্রের অংশ। ওই নারী নিজেকে দেহজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিত্তবানদের তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। একই সময় পুলিশ সদস্যরা ওই বাড়িতে অভিযান চালানোর নামে গিয়ে উপস্থিত ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা- পয়সা হাতিয়ে নেন।
একইভাবে গতকাল রাতে সনজিত শীল নামের এক ব্যবসায়ীকে সদর থানার নীরালা এলাকার বাড়িতে ডেকে নেন ফাতেমা। সেখানে ওই নারী সনজিত শীলের সঙ্গে একান্ত ছবি তোলেন। কাছাকাছি সময়ে এএসআই সিফাতউল্লা ও মিরান ওই বাড়িতে যান এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ২৭ হাজার ৫০০ টাকায় ঘটনাটির সাময়িক দফারফা করেন ভুক্তভোগী সনজিত।
পরে ওই ব্যবসায়ী পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ জানিয়ে খুলনা থানায় সিফাতউল্লা, মিরান ও ফাতেমার নামে মামলা করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই তাঁদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এডিসি আরো জানান, মামলা হওয়ার কারণে দুই এএসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে পুলিশের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ রকম অপরাধ তৎপরতার সঙ্গে জড়িত বলে এলাকায় বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।