মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না কেউই

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কোনো লোকজন যাওয়া শুরু করেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত উঠিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর থেকে বন্দর ও পৌর শহর ছাড়াও গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। মাইকিংয়ের পরও কোনো লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না।
তবে এখানকার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। সেখানে আলো-বাতিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের দুর্গতদের জন্য শুকনা খাবার, ওষুধ ও সুপেয় পানি মজুদ করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা জানান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমন ও অবস্থানরত জাহাজগুলোতে পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ফেয়ারওয়ে, হাড়বাড়িয়া ও পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজসহ দেশি নৌযানগুলোকে নিরাপদে অবস্থান নিতে নির্দেশনা দিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের বড় জাহাজগুলো বন্দর চ্যানেলে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বনবিভাগ।
মোংলা বন্দর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেও সকাল থেকে এখানে রৌদ্রকরোজ্জ্বল স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সবাই দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। কারো মধ্যে ঝড়ের ভীতিও তেমন নেই।