দৈনিক যুগান্তরসহ আট অনলাইনের বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষকের মামলা

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার অভিযোগ এনে দৈনিক যুগান্তরসহ আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান। আজ শনিবার রাতে নগরীর মতিহার থানায় তিনি মামলা করেন। মামলার নম্বর-৩৫।
কাজী জাহিদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদালয় সাংবাদিক সমিতি- রাবিসাস নামের একটি ফেসবুক পেজে ‘এবার রাবির আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ’, একই দিন ‘www.arthosuchak.com’ নামক ওয়েবসাইটে ‘হলে সিট দিতে রাবি শিক্ষকের চাঁদাবাজি!’, ‘www.campuslive24.com’ নামক ওয়েবসাইটে ‘রাবির প্রফেসরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ’, ‘www.jagonews24.com’ নামক ওয়েবসাইেট ‘রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ’, ‘www.news71online.com’ নামক ওয়েবসাইেট ‘রাবির আবাসিক হলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ’, ‘www.24bdtimes.com’ নামক ওয়েবসাইটে ‘রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ’, ‘www.newsaction24.net’
নামক ওয়েবসাইটে ‘চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত রাবির শিক্ষক’ শিরোনামে শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, কাল্পনিক তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়, যা তাঁর জন্য ভীষণ রকমের মানহানিকর। এ ছাড়া ১০ অক্টোবর ‘www.jugantor.com’ নামক ওয়েবসাইেট ‘সিট বরাদ্দ দিতে চাঁদা দাবি রাবি শিক্ষকের’ এবং ‘sonalisangbad.com’ নামক ওয়েবসাইেট ‘আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হলে সিট বরাদ্দ দিতে ছাত্রদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ’ শিরোনামে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে, তথা দেশে-বিদেশে তাঁর মানহানি ঘটানো ও চরমভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন কাজী জাহিদুর রহমান।
জাহিদুর রহমান বলেন, সব ওয়েবসাইটেই কাছাকাছি সময়ে এবং একই রকম ভাষায় তাঁর বিরুদ্ধে একযোগে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে তাঁর মানহানি ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাত্রদের নীতিভ্রষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেনকে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।