যমুনা বিপৎসীমার ১২৪ সেমির ওপরে, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারি বর্ষণে বগুড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০২টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুই হাজার পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ছাড়া ২০ হাজার পরিবার বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে রান্নার ব্যবস্থা না থাকায় শুকনা খাবার খেয়ে দিন কাটছে তাদের। সেখানে বিশুদ্ধ খাবার পানি, জ্বালানি ও গবাদি পশুখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বন্যায় তিন উপজেলার ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২২২টি পুকুরের (২৬ হেক্টর) ৭৪ টন মাছ ভেসে গেছে। এর আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হান ইসলাম জানান, তিন উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩২২ টন চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও এক হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।