খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে জনসভা নিষিদ্ধের দাবি সাংবাদিকদের, বিরক্ত মেয়রের ‘না’

খুলনার ঐতিহাসিক শহীদ হাদিস পার্কে জনসভা নিষিদ্ধ করার জন্য কয়েকজন সাংবাদিকের দাবি নাকচ করে দিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, অতীতে আমরা যেখানে জনসভা করেছি, সেখানে এখন নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। এ সময় ওই সাংবাদিক নেতাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন মেয়র।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শহীদ হাদিস পার্কে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের বিভাগীয় সমাবেশ রয়েছে। সিটি করপোরেশন অনেক আগেই জনসভা করার জন্য হাদিস পার্ক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একাধিক নির্দেশনা দিয়ে জনসভার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকজন সাংবাদিক নেতার এমন প্রশ্নে অন্য সংবাদ কর্মীরা বিব্রত হন। কয়েকজন সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
বুধবার খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, এতে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর শেখ মো. গাউসুল আজম। সিটি মেয়রের বাজেট ঘোষণা এবং বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্ন পর্ব শুরু হয়। সেখানে পরপর কয়েকজন সাংবাদিক নেতা দাবি করেন পরিবেশ এবং সৌন্দর্য রক্ষায় শহীদ হাদিস পার্কে এখন জনসভা নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন, তবে ছোটখাট অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। এই সাংবাদিক নেতাদের পক্ষ হতে দাবি করা হয়, বিগত মেয়র নির্বাচনে তারা মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন।
সিটি মেয়র এ সময় জবাব দিতে গিয়ে বলেন, অতীতে এবং দীর্ঘদিন ধরে যেখানে জনসভা হয়ে আসছে, সেখানে এখন নতুন করে জনসভা নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের দলই তো এই হাদিস পার্কে বহু জনসভা করেছে, এখন সেটি বন্ধ করা যায় না।
এ সময় একজন সাংবাদিক নেতা আবারও আবদার করেন, তাহলে জনসভা হওয়ার পর মাঠ পরিষ্কার বা গাছপালা-ফুলগাছ ঠিক আছে কি না, তা জনসভার পর বুঝে নেওয়ার জন্য একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে।
সিটি মেয়র এই সময় বিরক্ত হয়ে সাংবাদিকদের তাঁর কাজের সমালোচনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা লিখুন অবৈধ দখলদারদের কথা বা বিভিন্ন অনিয়ম থাকলে মেয়র দেখছে না এমন প্রতিবেদন করুন, যাতে আমি কাজ করতে পারি।