দালালের খপ্পরে পড়ে নয় লাখ টাকা গেল যুবকের
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/05/photo-1446707912.jpg)
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর গ্রামে দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন রিফাত খালসী (২২) নামের এক যুবক। একই গ্রামের সঞ্জিত পাল (৩৫) নামের এক ব্যক্তি ইতালি পাঠানোর কথা বলে তাঁর কাছ থেকে নয় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ রিফাতের।
এ ঘটনায় ওই যুবকের নানা আবদুল মান্নান ঢালী (৬৭) বাদী হয়ে শরীয়তপুরের আদালতে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় সঞ্জিত পাল ছাড়াও আসামি করা হয়েছে তিত্তাপাল (৬০), দিলীপ পাল (৫৮), মুক্তা রানী (৩০) ও ইন্দ্রজিৎ পালকে (৩২)।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেদারপুর গ্রামের সঞ্জিত পালের ভাই সুমন পাল দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে থাকেন। সে সুবাদে সঞ্জিত পাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইতালিতে লোকজন পাঠান। সঞ্জিতের সঙ্গে রিফাতের পরিবারের ভালো সম্পর্ক ছিল।
রিফাতকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন সঞ্জিত। পাসপোর্ট ফটোকপির সঙ্গে নয় লাখ টাকা আর বাকি তিন লাখ টাকা ভিসা সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেওয়ার কথা হয়।
পরে রিফাতের নানা আবদুল মান্নান ঢালী নাতিকে বিদেশে পাঠাতে ধারদেনা করে ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিন লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেকসহ দুই কিস্তিতে সঞ্জিত পালকে নয় লাখ টাকা দেন। টাকা নেওয়ার কয়েক দিন পর সঞ্জিত পাল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
জানতে চাইলে আবদুল মান্নান ঢালী বলেন, ‘নাতিকে বিদেশে পাঠাতে আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন এনজিওর (বেসরকারি সংস্থা) কাছ থেকে ঋণ করে টাকার জোগাড় করে দিয়েছি। টাকা নেওয়ার কয়েক দিন পর থেকে সঞ্জিত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এখন খেয়ে-না খেয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করছি।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে সঞ্জিত পালের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, আদালতের নির্দেশনা পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।