চট্টগ্রাম ও খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম ও খুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মোল্লা (৫৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী আক্তার (৪০) নামের এক নারী নিহত হন।
চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি আরিচ আহমেদ শাহ জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২২ আগস্ট শহরের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন বাদশা মোল্লা। ডেঙ্গুর পাশাপাশি হৃদরোগ, কিডনির রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন বাদশা। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর ডেঙ্গুরোগ শনাক্ত করা হয় বলে জানান তিনি।
নিহত বাদশা মোল্লা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আখতারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ শিশুসহ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১২ রোগী।
খুলনা থেকে প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তৈয়ব জানিয়েছেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শিল্পী আক্তার। তিনি তেরখাদা উপজেলার আটলিয়া গ্রামের মো. সাহেব আলীর স্ত্রী।
আজ দুপুরে খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম কামাল তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার বিকালে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন শিল্পী। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ডেঙ্গু রোগে ভুগছিলেন। ডেঙ্গুর পাশাপাশি প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। এ নিয়ে খুলনায় মোট আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো।
শিল্পী আক্তারসহ নিহত ব্যক্তিরা হলেন রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মঞ্জুর ও মিজান, দিঘলিয়ার মর্জিনা, শরণখোলার খাদিজা, গোপালগঞ্জের রাসেল, সাতক্ষীরার আলমগীর ও পিরোজপুরের সাহিদা।
ডা. এস এম কামাল আরো জানান, এর আগে বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগী রাজধানী থেকে আক্রান্ত হয়ে খুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয়ভাবেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছে।
এস এম কামাল আরো জানান, খুলনায় এখন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১০২ জন। তাদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯৫ রোগী। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৪।
খুলনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. আতিউর রহমান জনান, গত ১২ ঘণ্টায় নতুন করে ২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।