খুলনায় দুই চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ

খুলনায় দুই চাচা শ্বশুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমে মামলা না নিতে চাইলেও ওই গৃহবধূ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হওয়ার একদিন পর আজ শনিবার মামলা নেয় পুলিশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ গাইনি বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। পরে তাঁর ঘটনা শুনে তাঁকে ওসিসিতে নেওয়া হয়েছে।
ভিকটিম গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানায়, চার মাস আগে বিয়ে হয় মেয়েটির। তাঁর স্বামী ইটভাটায় কাজ করতেন। ১০ দিন আগে ইটভাটায় টাকা লেনদেনের প্রতারণা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে মামলার মীমাংসা ও জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে দুই চাচা শ্বশুর গৃহবধূর বাসায় আসতেন। গতকাল শুক্রবার সকালে জামিনের বিষয়ে বাড়ির অন্যরা বাইরে যান। গৃহবধূ তখন বাসায় একা ছিলেন। সে সময় তাঁর দুই চাচা শ্বশুর শরীফুল গাজী (৩০) ও সাইফুল গাজী (২২) এবং তাঁদের বন্ধু আবির শিকদার গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন। তাঁরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে গৃহবধূর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান।
এ ঘটনার পর গৃহবধূর শাশুড়ি থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু থানায় ঢুকতেই তাঁকে জানানো হয়, মামলা করতে টাকা লাগবে। টাকা না থাকায় তাঁকে থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবিনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে শনিবার সকালের দিকে দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগের হস্তক্ষেপে দুপুরের পরে মামলা হয়েছে বলে স্বীকার করেন ওসি শফিকুল। তিনি জানান, বাদীর কাছে ঘটনা শুনে সাইফুল গাজীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঘটনা সাজানো হতে পারে। আসামিকে আটক করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।