নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে মা-শিশুকন্যার মৃত্যু

নীলফামারী সদর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূ টুনটুনি (২৬) ও তার কন্যাশিশু বৃষ্টির (৩) মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার দারোয়ানী রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত টুনটুনি সদরের দারোয়ানী স্টেশন সংলগ্ন দারোয়ানীপাড়ার তারেক রহমানের স্ত্রী ও বৃষ্টি তাঁর কন্যা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর তারেক রহমানের সঙ্গে টুনটুনির বিয়ের হয়। এর পর তাঁদের একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী তারেক ও তাঁর পরিবারের লোকজন টুনটুনির ওপর নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজ সকালে সামান্য বিষয় নিয়ে স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে টুনটুনির ঝগড়া বাধে। এর এক পর্যায়ে টুনটুনি তাঁর মেয়ে বৃষ্টিকে নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেন এসে পড়ায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা ও মেয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়।
এদিকে প্রতিবেশীরা দাবি করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত বলে টুনটুনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত টুনটুনির বাবা বুদারু মামুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েটাকে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ মিলে অত্যাচার-নির্যাতন করত। এ কারণে মেয়েটা রেললাইনে এসে কালাডুবি করলো।’
এ ব্যাপারে নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল বাশার আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।