মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুহত্যা, আসামিদের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহৃত পরশকে (৬) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
পরশ উপজেলার কাদিমনগর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী কেশব সাহার ছেলে। তাকে গতকাল বুধবার বিকেলে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় কেশব সাহা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলা করেছেন।
এঁরা হলেন জিল্লুর (২০), ইব্রাহিম (২২), ফিরোজ (২০), মামুন (২০), কামাল (৪৫), নূরবানু (৩০), শেফালি (৩৫)। তাঁদের সবার বাড়ি কাদিমনগর গ্রামে।
এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী আসামিদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। ফুলবাড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঘোড়াঘাট বাজার ব্যবসায়ী বণিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন মণ্ডল জানান, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেল ৫টা থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সব দোকান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সংগঠন আগামীকাল সকালে মানববন্ধন করবে।
পুলিশ জানায়, অপহরণের পর সন্ধ্যায় অজ্ঞাত স্থান থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে কেশব সাহার কাছে ফোন আসে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিল্লুর ও মামুনসহ সাতজনকে আটক করে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পাশ থেকে পরশের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তিপণ না পাওয়ায় তারা পরশকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
ওসি আরো বলেন, পরশকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আরো তথ্য জানতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।