খুলনায় সোনালী ব্যাংকের ১২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ওই ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারসহ (জিএম) চার কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার সময় পর্যন্ত উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন ওই চার কর্মকর্তা। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা (তৎকালীন খুলনা করপোরেট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক), ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান। এ মামলায় অপর আসামি মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হক বুলবুল পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তিন দফায় ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নিয়ে কোনো মালামাল না কিনে আত্মসাৎ করেন। এতে সরকারের সুদাসলে মোট ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা করে দুদক।

অপরদিকে আজ দুদকের অপর একটি মামলায় খালিশপুর জুট মিলের প্রকল্প পরিচালক মো. লিয়াকত হোসেনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।