নোয়াখালীতে 'স্পিরিট পান করে' ৫ জনের মৃত্যু

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় স্পিরিট পান করে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের চিকিৎসার জন্য ফেনীতে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার মোহাম্মদ নগর গ্রামের মহিন উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির নুর নবী মানিক, একই এলাকার বাসিন্দা রবি লাল রায়, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকেরবাজার এলাকার আবদুল খালেক ও সিরাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সবুজ।
স্থানীয়রা বলছে, উপজেলার বসুরহাট বাজারের পানবাজার সংলগ্ন রফিক হোমিও হলের স্পিরিট বিভিন্ন কোমল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে পান করায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা জায়েদের ছেলে প্রিয়মসহ দুজনকে আটক করেছে। তবে জায়েদ ঘটনা টের পেয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দোকানের মালিক জায়েদ ও তাঁর ছেলে প্রিয়ম দীর্ঘদিন ধরে খোলামেলাভাবে এ হোমিও হলে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছিলেন।
পুলিশ বলছে, পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসনকে না জানিয়ে তিনজনের দাফন সম্পন্ন করেছে তাঁদের পরিবার। তবে বাকি দুজনের দাফন এখনো সম্পন্ন হয়নি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায়ের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো একজনের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান পাঁচজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একাধিক সূত্রে বিভিন্ন স্থানে স্পিরিট পানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত পাঁচজনের বাড়ি পরিদর্শন করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো একজনের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এর আগে তিনজনের দাফন সম্পন্ন করেছে তাঁদের পরিবার। বাকিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে।