রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর

রোহিঙ্গাদের আগমনে প্রভাবিত কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে উক্ত কার্যক্রম আজ বুধবার বিকেলে উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে টেকনাফের হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হ্নীলার নাইক্ষ্যংখালি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি সেমিপাকা ভবন এবং ওয়াস ব্লক উদ্বোধন করা হয়।
এ ছাড়া টেকনাফের নয়াপাড়া ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের এলাকায় বসবাসরত দরিদ্র বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর ২১টি পরিবারকে উন্নতমানের বসতঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে রান্নার সুবিধার্থে ৭৮০ পরিবারের মধ্যে এলপিজি সিলিন্ডার ও চুলা বিতরণ করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে ইউএনএইচসিআর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে রান্নার সুবিধার্থে এলপিজি সিলিন্ডার ও চুলা সরবরাহ শুরু করে। এর আগে ৬০০ পরিবারকে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে চুলা সরবরাহ করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট ২০ হাজার পরিবারকে রান্নার চুলা ও এলপি সিলিন্ডার দেওয়া হবে।
এ সময় ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার অফিসের হেড অব অপারেশন মারিন ডিন কাইদুমচাই জানান, স্থানীয় জনগণ শরণার্থীদের প্রতি অতুলনীয় মানবতা ও ভ্রাতিত্ববোধের নিদর্শন দেখিয়ে তাদের স্বাগতম জানিয়েছে এবং আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর আগমনের প্রভাব পড়ছে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের ওপর। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় দরিদ্র জনগণের সহায়তা করতে চাই।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, বিপুল রোহিঙ্গা আগমনের কারণে উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্ঠী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। তাদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ এগিয়ে আসছে।