বন্দিবিনিময়, যৌথ সীমান্ত জরিপ নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশ ও ভারতের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে যৌথ সীমান্ত সম্মেলন আজ রোববার যশোরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেশকিছু বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময়, যৌথ সীমান্ত জরিপ এবং অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর দুই পক্ষ এসব বিষয়ে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে যশোর, সাতক্ষীরা এবং ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন উত্তর চব্বিশ পরগুনা জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনমিত নন্দা। ভারতের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগুনা জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায় চৌধুরী।
আজ সকাল ৯টায় বৈঠক শুরু হয়ে চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হয়।
এ সময় দুই দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানরা জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বাধাসমূহ দূর করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বৈঠকে দুই দেশের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। এ ছাড়া সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার এবং মানবপাচার বন্ধে দুই দেশের কর্মকর্তারা যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
গত বছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম এ ধরনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে যশোরের জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের কিছু কমন ইস্যু আছে, যেগুলোকে আমরা সমস্যা মনে করি না। এ ধরনের বৈঠকের মাধ্যমে আমরা ওই ইস্যুগুলোর নিষ্পত্তি করতে পারব বলে আশা করছি।’
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগুনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনমিত নন্দা বলেন, ‘বিষয়টি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিষয়। আমরা আশা করছি, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’