পৌরসভার নির্বাচনের তারিখ বদলাচ্ছে না

আগামী ৩০ ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না সংসদ সদস্যরা। আজ সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা পৌরসভা নির্বাচনের সময় বাড়ানো এবং সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারার যেসব দাবি উত্থাপন করেন, তা নিয়ে বৈঠকে বসে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে দীর্ঘ বৈঠক শেষে পৌর নির্বাচনের বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসে কমিশন।
সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘সংসদ সদস্যরা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন কি না, আমরা এটা গভীরভাবে বিবেচনা করেছি এবং আমরা দেখছি যে এ পর্যায়ে আচরণবিধি, যেটা আমরা জারি করেছি, সেটা এ পর্যায়ে পরিবর্তন করা সমীচীন হবে না।’
নির্বাচনের তারিখ
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, ‘আরেকটা বিষয় ছিল, নির্বাচন শিডিউল কিছুদিন পেছানো যায় কি না। আগেও আপনাদের বলেছি, খুব সন্তর্পণে দেখেশুনে আমরা এটা করেছি। তবুও যেহেতু উনারা বলেছেন, আমরা আবারো সবাই মিলে বসে আলোচনা করি যে একদিনের জন্য হলেও পেছানো যায় কি না। কিন্তু আমরা দেখলাম যে না। আমরা আরো আগে এটা করতে চেয়েছিলাম। ২০ ডিসেম্বর করতে পারলে আমাদের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকত। ওই সময়টা আমরা পাইনি, যেহেতু এত দেরি করে গেজেট হলো। আচরণ বিধিমালা, নির্বাচন বিধিমালাটাও ২৩ তারিখেই পেয়েছি। ২৩ তারিখে গেজেট করে আমাদের আর সময় ছিল না। কারণ দেখলাম, পরিবর্তন করার আর কোনো সুযোগ নাই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘এ পর্যায়ে যদি নির্বাচন না করে, তাহলে আর করাই যাবে না।’
অন্যান্য বিষয়
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘আরো ছোটখাটো কিছু বিষয় ছিল, তা আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি। যেমন বলা হয়েছিল, একজন প্রস্তাবক দুজনেরটা সই করতে পারবেন কি না। একজন প্রস্তাবক এক পদের জন্য দুজনেরটা সই করতে পারবেন না। কিন্তু ভিন্ন পদের জন্য পারবেন। এগুলো আমাদের বিধিমালাতে বলা আছে।’
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, ‘আইন তো পরিষ্কার। নিবন্ধিত দল তাদের প্রতীকে নির্বাচন করে। কোনো নিবন্ধিত দল যদি তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তারা তাদের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের দল তো বাতিল হয়ে যাচ্ছে। উনাদের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না।’
বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টির একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে ইসলামীসহ নিবন্ধন নেই এমন দলগুলোকে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার দাবি জানায়।