প্রতিবন্ধিতাকে জয় করা এক ওয়াসিমের কথা

সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মানুষকে পেরোতে হয় নানা বাধা-বিপত্তি। অতিক্রম করতে হয় দীর্ঘ পথ। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কারো কারো জন্য সেটি হয় অনেক বেশি কষ্টসাধ্য। এমনই একজন কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ওয়াসিম। জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি।
স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হাত-পা, পিঠে কুঁজো নিয়ে জন্ম নেওয়া এ প্রতিবন্ধী যুবককে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না পরিবার-পরিজনসহ সবার। কিন্তু ওয়াসিমের লক্ষ্য ছিল অবিচল। সব আশঙ্কা, উপহাস ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করার দৃঢ় মনোবল নিয়ে কর্মদক্ষতায় এগিয়েছেন স্বপ্নপূরণের পথে। সীমাহীন মানসিক শক্তি, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম করে আজ একজন সফল মানুষ ওয়াসিম। সাফল্যে যেকোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষকেও যেন হার মানিয়েছেন তিনি।
পড়াশোনায়ও খারাপ ছিলেন না ওয়াসিম। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল। কিন্তু পারিবারিক অসচ্ছলতায় আর এগোয়নি ওয়াসিমের পড়াশোনা। এর পর পল্লী চিকিৎসার কোর্স সম্পন্ন করে এখন গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত তিনি। আছে একটি ওষুধের দোকানও। ওষুধ বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশে টাকা পাঠানোর ব্যবসাও করেন ওয়াসিম। একই সঙ্গে তিনি কাজ করেন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবেও।
ওয়াসিমের মোটরসাইকেল চালানো দেখে যে কারো মনে হবে, তিনি যেন দিব্যি সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ। এই মোটরসাইকেলে সওয়ার হয়েই প্রতিদিন এলাকার দোকানে দোকানে ওষুধ সরবরাহ করেন ওয়াসিম। কখনো বা এ-বাড়ি থেকে ও-বাড়ি ছুটছেন সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিতে।
পারিবারিক জীবনেও সুখী ওয়াসিম। সুস্থ রয়েছে তাঁর তিন ছেলে। পরিবারসহ এলাকার সবার মুখে তাঁর সাফল্যের গল্প; এক অনুপ্রেরণার নাম ওয়াসিম।
মারুফ আহমেদের পাঠানো তথ্য ও ছবিতে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার এই সংগ্রামী যুবকের বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে :