রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকা থেকে র‌্যাবের পোশাক পরে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি হলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহাগ।

urgentPhoto

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সোহাগের বাবা আক্কাসউজ্জামান। এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তিনি। তবে পরিবারের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে র‌্যাবের পোশাকধারী ছয়-সাতজন তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় সোহাগদের বাড়িতে যান। র‌্যাবের পোশাক পরা দেখে বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দিলে র‌্যাব সদস্যরা সোহাগের ঘরে ঢুকে তাঁর কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইলের মেমোরি কার্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস চান। সেগুলো নেওয়ার পরই তারা সোহাগকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে যান। ছেলেকে কোথায় পাব এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব সদস্যরা থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। ভোর ৫টার দিকে রাজপাড়া থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা থেকে সোহাগের পরিবারকে র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সকাল ৭টার দিকে সোহাগের বাবা ও শ্বশুর র‌্যাবের রাজশাহী সদর দপ্তর, বোয়ালিয়া থানা, ডিবি পুলিশ ও মতিহার থানায় খোঁজ নিলেও কোথাও সোহাগের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সোহাগের বাবা।

সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের মা বেগম শিরিন জামান, স্ত্রী ফারজানা রহমান শোভা, শ্বশুর দুলাল রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাঁরা সোহাগের সন্ধান পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সোহাগের মা বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, তাহলে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু র‌্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আমার সোহাগের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। আমার ছেলে জীবিত না মৃত তাও জানি না।’

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী র‌্যাব ৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট  কর্নেল মাহবুবুর রহমান জানান, সাইফুজ্জামান সোহাগ নামে রুয়েট ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে র‌্যাব আটক করেনি। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কেন এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে, তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।