কদর বাড়ছে আশুগঞ্জের শুঁটকির
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/10/photo-1452386853.jpg)
আশুগঞ্জের লালপুরের শুঁটকি দেশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশে। এ অঞ্চলের শুঁটকির গুণগত মান ভালো হওয়ায় দিন দিন এর কদর বাড়ছে। দাদন ব্যবসায়ীদের চড়া সুদ থেকে বাঁচতে ব্যাংক ঋণের সুবিধা চান শুঁটকি ব্যবসায়ীরা।
urgentPhoto
আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে লালপুরে শুঁটকিপল্লীতে ব্যস্ত কারিগররা। এখানকার দেড় শতাধিক মাচায় শুকানো হচ্ছে মাছ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেঘনা, তিতাস নদী ও চট্টগ্রামের কক্সবাজার থেকে মাছ সংগ্রহ করে এভাবেই এখানে শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। এসব শুঁটকি তৈরিতে ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করায় এর কদরও একটু বেশি।
ইউরোপ, আমেরিকা, ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয় এখানকার উৎপাদিত শুঁটকি। তবে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের প্রধান অন্তরায় ব্যাংক ঋণ। চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এক শুঁটকি ব্যবসায়ী বললেন, ‘আমরা যে ব্যবসা করি, তাতে প্রায় এক কোটি টাকার মতো পুঁজি খাটানো লাগে। আমাদের তো এত টাকা নেই। বাকি নেই, মহাজন থেকে সুদে টাকা নিই। লাভের পর আর কিছু থাকে না আমাদের।’
তবে বিনা শর্তে প্রান্তিক শুঁটকি ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার কোনো নির্দেশনা না থাকায় আপাতত ঋণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা। কৃষি ব্যাংক লালপুর শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সিকিউরিটি বাবদ জমি লাগবে। যেটা নিজের নামে খাজনা খারিজ করা থাকতে হবে। এ রকম কিছু আমাকে তাঁরা দেখাতে পারেননি। আর নদীর পাড়ে তো। এসব জমিতে কিছুটা ঝামেলা থাকে।’
তবে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেঘনা নদীতে পুলিশি টহল জোরদারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহরিয়ার আল মামুন বলেন, ‘শুঁটকি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের আশুগঞ্জ থানা পুলিশ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। টহল পার্টি যারা আছে, তারা সব সময় থাকছে।’