কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শালঝোড় সীমান্তে আবদুল গনি (৫০) নামের বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় বিএসএফের পিটুনিতে আহত আরেক গরু ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন পালিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে চলে আসেন।

পরে আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বিএসএফ আবদুল গনির লাশ বিজিবির কাছে ফেরত দেয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক মো. জাকির হোসেন ও ভারতের ৯৮ বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার এ কে সিং।

আজ ভোররাতে ভুরুঙ্গামারীর শালঝোড় সীমান্তের ৯৮৮ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে দুই গরু ব্যবসায়ী আবদুল গনি ও আলাউদ্দিন গরু আনতে গেলে ভারতের কোচবিহার সীমান্তের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যান। এ সময় তাঁদের পিটুনিতে আবদুল গনি মারা যান। আলাউদ্দিন আহত অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এঁদের দুজনের বাড়ি ভুরুঙ্গামারীর ধলডাঙ্গা গ্রামে। 

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামে বিজিবির ৪৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক জাকির হোসেন জানান, দুজন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শালঝোড় সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাঁদের আটক করে পিটুনি দেয়। এ সময় আবদুল গনি মারা গেলে তাঁর লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে ফেলে রাখে বিএসএফ। অপর গরু ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন আহত অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসেন। দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আবদুল গনির লাশ ফেরত এনে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।