ছাত্রলীগ নেতার বান্ধবীর দিকে তাকানোয় পিটুনি

বান্ধবীর দিকে দুইবার তাকানোর অপরাধে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন সংগঠনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল শাখার সভাপতি ও সহসভাপতি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
কর্মীকে পেটানোর দায়ে শাহ মখদুম হল শাখার সভাপতি আরিফ বিন জহির ও সহসভাপতি রেজুয়ান হৃদয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
এর আগে গত শনিবার তিন কর্মীকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানাকে স্থায়ী বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী ফজলুল হক ক্যাম্পাস থেকে নবাব আবদুল লতিফ হলে ফিরছিলেন। এ সময় শাহ মখদুম হলের সহসভাপতি রেজুয়ান হৃদয়ও তাঁর হলসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ফজলুল হক তাঁদের দিকে দুইবার তাকালে অতর্কিতভাবে পেটাতে শুরু করেন হৃদয়। একপর্যায়ে সেখানে শাহ মখদুম হলের সভাপতি আরিফ বিন জহিরও গিয়ে ফজলুল হককে পেটাতে শুরু করেন। তখন পথচারী সাধারণ শিক্ষার্থী আতিক সাদ্দাম তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। পরে ফজলুল হককে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর আজ বিকেলে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরিফ বিন জহির ও রেজুয়ান হৃদয়কে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজ সংগঠনের কর্মীকে তুচ্ছ কারণে হয়রানি করার অভিযোগে শাহ মখদুম হলের সভাপতি আরিফ বিন জহির ও সহসভাপতি রেজুয়ান হৃদয়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা সংগঠনের কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
হামলার শিকার ছাত্রলীগকর্মী ফজলুল হক বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই তাঁরা অন্যায়ভাবে আমাকে মারধর করেন। আমি এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ বিন জহির দাবি করেন, ‘আমি সেখানে সময়মতো উপস্থিত না হলে বড় কোনো ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যেহেতু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নিতে বাধ্য।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে রেজুয়ান হৃদয়ের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।