নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কারাগারের অবদান অনস্বীকার্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কারাগারের অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে বলেছেন, কারাগার একটি সংশোধনাগার হিসেবে ‘বন্দির হাতকে কর্মীর হাতে’ রূপান্তর করে থাকে। এর ফলে আটক অপরাধীদের পুনরায় অপরাধ করার প্রবণতা হ্রাস পায়।
কারা সপ্তাহ-২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ প্রত্যাশার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কারাবন্দিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘কারা অধিদপ্তর কঠোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিত করবে। তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আইনজীবীর সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করাসহ তাদের প্রতি মানবিক আচরণ সমুন্নত রাখতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বন্দিদের সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করবে কারা অধিদপ্তর।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কারা বিভাগের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও ‘কারা সপ্তাহ-২০১৬’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার, ১৩টি জেলা কারাগার এবং ৪২টি উপকারাগার নিয়ে কারা বিভাগ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালে আমাদের সরকার উপকারাগারগুলোকে জেলা কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে। নতুন কারাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আমরা অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় দেশের কারাগারগুলোর উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। আমরা কারাগারকে বন্দিসংশোধন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পরিচালিত করি।’
সাত বছর ধরে নতুনভাবে ১০টি কারাগার নির্মাণ এবং নতুন আরো সাতটি কারাগার নির্মাণের কাজ চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি কারাগার পুনর্নির্মাণ এবং দুটি কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। কারা অভ্যন্তরে জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতি জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। আমরা কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও বন্দিদের জন্য প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করেছি। কারাগারগুলোতে কুটির শিল্প ও বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল স্টোর, হাসপাতাল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ও অফিসার্স মেস নির্মাণ এবং আইসিটি ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে দেশের কারা বিভাগ আজ একটি কার্যকর ও আধুনিক বিভাগে পরিণত হয়েছে।’