রাজশাহীতে বই পড়ে ৮৬২ শিক্ষার্থী পুরস্কৃত

রাজশাহী মহানগরীর ৮৬২ জন বই পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। বছরজুড়ে বইপড়া কর্মসূচিতে নিজের উৎকর্ষতার পরিচয় দেওয়ায় আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তাদের হাতে পুরস্কার হিসেবে বই তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কার বিতরণী উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৫ সালে রাজশাহী মহানগরীর ৩৪টি স্কুলের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। মূল্যায়ন পর্বে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘বই মানুষের হৃদয়কে সুন্দর করে, আলোকিত করে ও জীবনকে সমৃদ্ধ করে। আর সমৃদ্ধ হৃদয়ের মানুষরাই পারে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে। তোমরা বই পড়ে হৃদয়কে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশকে উন্নত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা বই পড়, বই পড়লে তোমাদের হৃদয় সুন্দর হবে ও তোমরাও ভালো হবে। তোমরা ভালো হলে বাংলাদেশ ভালো হবে। বাংলাদেশ বড় হবে।’
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মুনির হোসেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মোকবুল হোসেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র নাটোর শাখার সংগঠক অধ্যাপক অলোক মৈত্র, রাজশাহী মহানগর শাখার সংগঠক সোমা আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরীফ মো. মাসুদ ও গ্রামীণফোন রাজশাহীর হেড অব রিজিওনাল ইমতিয়াজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক বলেন, ‘মেয়েরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে, এটা সম্ভব হয়েছে বই পড়ে ও স্বপ্ন দেখে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তোমাদের সেই স্বপ্ন দেখাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের মনকে পরিষ্কার করতে, বিকশিত মানুষ হতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিখ্যাত মানুষদের লেখা বিভিন্ন বই পড়ার জন্য তিনি ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানান।
গ্রামীণফোনের হেড অব রিজিওনাল ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একঝাঁক মেধাবী জ্ঞানপিপাসুকে স্বীকৃতি দিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে গ্রামীণফোন আনন্দিত ও গর্বিত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তার কর্মসূচি নিয়ে দেশের প্রায় সব প্রান্তে পৌঁছে গেছে। আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ যাত্রায় গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গী হিসেবে রয়েছে গ্রামীণফোন। ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র রাজশাহী মহানগরীর বইপড়া কর্মসূচির এই পুরস্কার বিতরণী উৎসবে ৩৪টি স্কুলের ৮৬২ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৫৯৯ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ২০৫ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৪১ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৭ জন।