গাজীপুরে মুক্তিপণ না পেয়ে চার বছরের শিশু সোলায়মান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার সকালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নিহত শিশু সোলায়মানের বাবা মোকাররম হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা সোলায়মানের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি করেন। 

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশু সোলায়মান হত্যার প্রতিবাদে শত শত নারীপুরুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মিছিল নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় আউটপাড়া এলাকার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী মোকাররম হোসেনের চার বছরের শিশুপুত্র সোলায়মান বাবার দোকানের পাশে একটি সেলুনের সামনে খেলা করার সময় অপহৃত হয়। ওই রাতেই মোকাররম হোসেনের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

অপহরণের দুইদিন পর সোমবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর সুরাবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় নির্মল দাস নামের এক সেলুন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১-এর সদস্যরা। র‍্যাবের দাবি, ঋণের টাকার জামিনদার না হওয়ায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী মোকাররম হোসেনের ছেলে সোলায়মানকে হত্যা করেছে বলে নির্মল র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। 

নির্মলের বাড়ি নেত্রকোনায়। মোকররম ও নির্মল সপরিবারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা আউটপাড়া এলাকার পরিবহন নেতা আব্দুল মোতালেবের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নির্মল স্থানীয় কলেজপাড়া এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে সেলুন ব্যবসা করেন এবং মোকাররমও পাশাপাশি দোকানে ভাঙ্গারী মালামালের ব্যবসা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকাররম বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন।