সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু রুটি-রুজির আন্দোলনসহ কতকগুলো প্রশ্নে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সোমবার সন্ধ্যায় যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইকবাল সোবহান চৌধুরী এই আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘যখনই কোনো পত্রিকা বা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আসবে, সেটি সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দল বা যে কোনো জায়গা থেকেই আসুক, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি সাংবাদিকদের সেই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিচ্ছি।’
এ সময় সেখানে যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরো বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কোনো সরকার যদি দেশের ও জনগণের কল্যাণ করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা প্রশংসা করব। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁরা যদি জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নেন, দেশের কল্যাণ না করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা তার সমালোচনা করব।’ তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই গণমাধ্যম ওয়াচডগ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। আমরাও বস্তুনিষ্ঠতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করব। কোনো সরকার আমাদের পছন্দ করুন বা না করুন, ওয়াচডগ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অধিকার দিক বা না দিক, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব। তবে তা করতে হবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতাকে ব্যবহার করব না।’
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল। ৪৪ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখনো কোথাও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ছুটে যেতেন।’
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। কখনো কখনো সাংবাদিক হিসেবে নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ থাকে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে সেখানে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই, অবশ্যই আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত এলে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক-অসাম্প্রদায়িক প্রশ্নে অবশ্যই আমরা অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে থাকব। মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে, তাদের বিচারের পক্ষে যাঁরা রয়েছেন, অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নিতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে থাকতে হবে। কোনো অশুভ শক্তি দেশের ওপর ভর করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষ নিতে হবে।’