রাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাফরুহা হোসেন আর নেই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাফরুহা হোসেন সেঁজুতি আর নেই। গতকাল বুধবার রাত ১০টা ৫১ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেঁজুতি দীর্ঘদিন ধরে স্তন ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
রাবি সঙ্গীত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক অসিত রায় বলেন, ‘সেঁজুতি প্রায় ৫-৬ বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরিবার গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির পর থেকেই সেঁজুতিকে আইসিইউতে রাখা হয়। গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ৫১ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।’
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপাজেলার তেলিহার গ্রামের মরহুম অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের মেয়ে ড. মাফরুহা হোসেন সেঁজুতি। তিনি স্বামী ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মেয়ে শ্রুতি রহমানসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ড. মাফরুহা হোসেন সেঁজুতি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘ক’ শ্রেণিমানের তালিকাভুক্ত কণ্ঠশিল্পী, বাংলাদেশ বেতারের ‘খ’ শ্রেণিমানের কণ্ঠশিল্পী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘খ’ তালিকাভুক্ত সুকার ও সঙ্গীতপরিচালক ছিলেন।
সেঁজুতি বেশ কয়েকটি নাটকের আবহসঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন। সেগুলো হলো ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমানের ‘দৃষ্টি’, ‘আম্রকানন’, ‘সবুজদ্বীপের সাতপাখি’, ‘যন্ত্রণা’, ‘টোনাটুনি আর বাঘের গল্প’ এবং ‘মহামান্য রাজা ও মাননীয় মন্ত্রী’।
সঙ্গীত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ড. মাফরুহা হোসেন সেঁজুতির জন্ম ১৯৭০ সালে ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকাতেই। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.মিউজ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগ থেকে ‘কণ্ঠসঙ্গীতে বিএ অনার্স, এবং এখান থেকেই কণ্ঠসঙ্গীতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এই পিএইচডির জন্য এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের ‘এএসবি বৃত্তি’ লাভ করেন।
এ ছাড়া ঢাকা উইমেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সেঁজুতি সঙ্গীত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে প্রায় চার বছর চাকরি করেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষক হিসেবেও খণ্ডকালীন প্রায় চার বছর কাজ করেন।