যশোরে আরিফ হোসেন সালাম (২২) নামের এক ছাত্রলীগকর্মীর পায়ে গুলি করেছে পুলিশ। পরে অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে তাঁকে আটক করে পুলিশ। এর আগে রামদা দিয়ে তাঁর পায়ে একটি কোপও দেয় সংস্থাটির সদস্যরা বলে জানা গেছে।

এ সময় ছাত্রলীগকর্মীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে। তবে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন সালাম।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, অস্ত্র ও গুলি নিয়ে সালাম শেখহাটি বিশ্বাসপাড়া এলাকার একটি মার্কেটের সামনে অবস্থান করছেন—এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে সালাম তাঁর হাতে থাকা একটি রামদা দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাবুলের ঘাড় লক্ষ্য করে কোপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঘাড় সরিয়ে নিয়ে প্রাণরক্ষা পান। এ সময় পুলিশ দুটি গুলি ছুড়লে একটি সালামের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে বিদ্ধ হয়। রাতেই তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসি আরো জানান, সালামের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। সালামের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা আছে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাম জানান, রাতে তিনি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করে। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে থাকা রামদা দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ে কোপ দেওয়া হয়। পরে শটগান দিয়ে পায়ে গুলি করা হয়। এর পর আর কিছুই তাঁর মনে নেই।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, সালাম ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোনো পদে না থাকলেও নিয়মিত সব কর্মসূচিতে অংশ নেন।