‘সুস্থ আছেন চট্টগ্রামের জিকা আক্রান্ত ব্যক্তি’

জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত জিকা ভাইরাস সংক্রমণে একজন মানুষও মারা যায়নি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যে ব্যক্তির রক্তের নমুনায় জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে, তিনি ৬৭ বছরের একজন বৃদ্ধ। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন এবং তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁরাও সুস্থ আছেন বলে জানান সিভিল সার্জন। এ ভাইরাস ঠেকাতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এডিস মশা থেকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ২০১৪ সালে ওই ব্যক্তির ডেঙ্গু পরীক্ষার পর রক্তে নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাঁর রক্তের নমুনা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআর শাখার একটি তদন্ত দল চলতি মাসের ১৪ থেকে ১৯ মার্চ চট্টগ্রামে পাঁচদিন অবস্থান করেন। তাঁরা ওই রক্তের নমুনা চমেক হাসপাতাল থেকে নিয়ে উন্নত পরীক্ষা করান। এরপরই রক্তে জিকা ভাইরাস থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে এই ভাইরাসের সংক্রমণে আতঙ্কিত না হয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
এর আগে আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, চট্টগ্রামের ওই ব্যক্তির রক্ত ২০১৪ সালে সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁর রক্তে জিকা ভাইরাসের জীবাণু রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি প্রাণঘাতী রোগ নয়। চিকিৎসায় এ রোগ ভালো হয়। তবে গর্ভবতী মায়েদের যেন এ ভাইরাস আক্রান্ত না করে, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কেন না এ ভাইরাসে গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে শিশুদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। তিনি দেশবাসীকে বাড়ির আনাচ-কানাচ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান।