ব্যারিস্টার শাকিলার জামিন তিন মাস স্থগিত

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে সন্ত্রাস দমন আইনের দুই মামলায় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার জামিন আরো তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আসামিপক্ষের স্থগিতাদেশের আবেদন তিন মাস পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
এর আগে গত ২০ মার্চ শাকিলা ফারজানার জামিনের ওপর এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ব্যারিস্টার শাকিলাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিনের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত দিন মেয়াদ বাড়ানো হয়।
শাকিলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নাল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ ব্যারিস্টার শাকিলাকে জামিনের আদেশ দেন। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি শাকিলা ফারজানাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। সেদিনই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেড নামে একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র কেনার জন্য এক কোটি আট লাখ টাকা জোগানোর অভিযোগে ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও জজকোর্টের আইনজীবী মাহফুজ চৌধুরী বাপনসহ চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে শাকিলা ফারজানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে বাঁশখালী ও হাটহাজারীতে দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সন্ত্রাস দমন আইনের দুই মামলায় আইনজীবী লিটন ও বাপন গত বছরের ডিসেম্বরে জামিন পেয়ে মুক্তি পান। দুই মামলায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর শাকিলা জামিন না পাওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।