শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ায় রাবি শিক্ষকের শাস্তি

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে ফিশারিজ বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ওই শিক্ষককে শাস্তি দেওয়া হয়।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষক হলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। শাস্তিস্বরূপ তাঁকে ২০১১-১২ সেশনের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা, আগামী ১০ বছর বিভাগের কোনো শিক্ষাসফরে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আট শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থী ও ফিশারিজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৭ জুলাই মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সেই সময়ে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত (২০১১-১২ সেশন) আট শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের মধ্যে ছিল, বোরখা পরায় এক ছাত্রীকে অপদস্থ করা, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করা, শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনুগত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বলে দেওয়া, ওই শিক্ষকের কথামতো না চললে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া। শিক্ষার্থীদের করা এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়। গতকাল সোমবার বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তাঁরা। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ড. ইসতিয়াক হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। তবে একাডেমিক কাউন্সিল বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।
এ ব্যাপারে ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।